ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ভাতা বন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন

  • আপলোড তারিখঃ 13-10-2024 ইং
ভাতা বন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী মর্জিনা বেওয়া। পাঁচ বছর ধরে বয়স্কভাতা পাচ্ছিলেন। পাঁচ মাস আগে হঠাৎ করেই তাঁর ভাতা আসা বন্ধ হয়ে যায়। নাতিকে নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মারা গেছেন। তাই তাঁর নামের বরাদ্দ করা ভাতা বাতিল করা হয়েছে। তাঁকে কীভাবে মৃত দেখানো হলো, কারা এমনটি করল, এর কিছুই জানেন না তিনি।


শুধু মর্জিনা বেওয়া নন, তাঁর মতো জেলার অনেক জীবিত ভাতাভোগী এখন কাগজে-কলমে মৃত। তারা বেঁচে থেকেও ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। কার্ডধারীদের মৃত দেখিয়ে বরাদ্দকৃত বয়স্কভাতার কার্ড নতুন করে পছন্দের ব্যক্তিদের নামে করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধরঞ্জী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। 



চেয়ারম্যানের দাবি, ভুলবশত এটি হয়েছে। সমাজসেবা কর্মকর্তা বলছেন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বানিয়ে বাতিল করা ভাতার কার্ড নতুন ব্যক্তিদের নামে চালু করা হয়েছে। সে কারণেই তাদের নামে বরাদ্দ বন্ধ হয়েছে।


ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তাদের মৃত দেখিয়ে কার্ড বাতিল করেছে সমাজসেবা কার্যালয়। আবার অনেক ভাতাভোগীর ফোন নম্বর গোপনে পরিবর্তন করে ভাতাবঞ্চিত করা হয়েছে। ভাতার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না তারা। এসব বিষয়ে অভিযোগ জানালে হয়রানি ও অসদাচরণ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। 

ভুক্তভোগী মর্জিনা বেওয়া বলেন, ‘পাঁচ মাস ধরে ভাতা আসা বন্ধ। নাতিকে সমাজসেবা অফিসে পাঠিয়েছিলাম। সে এসে বলে তালিকায় আমাকে মৃত দেখিয়ে কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তাই টাকা আসা বন্ধ হয়েছে। আমি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। বয়সের কারণে কাজকর্ম কিছুই করতে পারি না। জীবিত আছি প্রমাণ করতে নাতিকে নিয়ে অফিসেও গিয়েছি। কাজ হয়নি। ভাতার টাকায় ওষুধ কিনে খাওয়া হতো। এখন সবকিছুই বন্ধ।’



আরেক ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেওয়া বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে টাকা আসা বন্ধ আছে। মর্জিনার মতো তালিকায় আমাকেও মৃত দেখানো হয়েছে। পরে সমাজসেবা অফিসে যাই। তারা আমার কাগজপত্র ঠিক করে দেবে বলেছে।’


ধরঞ্জী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কাজ করতে গেলে ভুল হতেই পারে। ভুলগুলো সংশোধন করে দ্রুত সমাধান করা হবে। তাছাড়া মর্জিনা ও আনোয়ারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ছিলেন না।


উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের তালিকায় তাদের মৃত দেখানো হয়েছে। সে কারণেই তাদের ভাতা কার্ড বাতিল করে নতুন সুবিধাভোগীর নাম প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তবে যাই হোক বন্ধ থাকা ভাতার কার্ডধারীকে ফের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ focusullapara

কমেন্ট বক্স
notebook

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ, আওয়ামী সমর্থকদের খুশির কী কারণ ?