রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ দল। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়ে সিরিজসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সিরিজসেরা পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজ ঘোষণা দিয়েছেন, এই অর্থ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এক রিকশাচালকের পরিবারকে দেবেন তিনি। সিরিজসেরা হয়ে মিরাজ বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, দেশের বাইরে প্রথমবার সিরিজসেরা হতে পেরে ভালো লাগছে। সবাই জানেন বাংলাদেশে কিছু সমস্যা হয়েছে। আপনারা জানেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অনেকে শহীদ হয়েছেন, এই আন্দোলনে একজন রিকশাচালক আহত হয়েছিলেন, পরে উনি মারা যান। তার পরিবারকে আমি এই অর্থটা দিতে চাই।’
দুই টেস্টে মিরাজ করেছেন ১৫৫ রান, নজরকাড়া গড় ৭৭.৫০। বল হাতে নিয়েছেন সিরিজের সর্বোচ্চ ১০ উইকেট। প্রথম টেস্টে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সপ্তম উইকেট গড়েন ১৯৬ রানের জুটিতে। নিজে করেছেন ৭৭ রান। তারপর শেষ দিনে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের লিড বড় করতে দেননি তিনি।
দ্বিতীয় টেস্টেও ২৬ রানে উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ দল। সপ্তম উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে ১৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন মিরাজ। ব্যাট হাতে করেছেন ৭৮ রান। যার কল্যাণে বাংলাদেশ দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে। প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। নাম লিখিয়েছেন রাওয়ালপিন্ডির অনার্স বোর্ডে। অসাধারণ ছন্দ ধরে রেখে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে হাতে তুললেন সিরিজসেরা পুরস্কার।