নিজস্ব প্রতিবেদক
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা একইসঙ্গে ২৮ ও ২৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে মহাসড়কে প্রতীকী ক্লাস নেনঅন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে এমন উদ্যোগ নজিরবিহীন। তারা স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ ও সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদন দাবি করছেন ।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রী ঢাকা‑পাবনা মহাসড়কের শাহজাদপুরে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১:৪৫ পর্যন্ত অবরোধ করে রাখেন, রাস্তায় আগুন জ্বেলে গণ পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ছাত্র-ছাত্রীরা মহাসড়কের মাঝখানে একত্রে বসে ক্লাস করেন। শিক্ষকরা রাস্তার মাঝখানে দাড়িয়ে শ্রেণি পরিচালনা করেছেন।
ব্যানার ও লিফলেটে লেখা: “ক্লাস নয়, ক্যাম্পাস চাই”।
অবরোধের পাশাপাশি মানববন্ধন ও বক্তৃতা অনুষ্ঠানও পরিচালিত হয়।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ রায়হান উদ্দিন শিক্ষার্থী বলেন, “প্রশাসন আমাদের শুধু আশ্বাস দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন কিছু বাস্তবায়ন হয়নি। ভাড়া ভবনে ক্লাস হচ্ছে, ক্যাম্পাস কোথায়?”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হোসেন বলেন, “আমরা দীর্ঘ নয় বছর ধরে আন্দোলন করছি—এত আশা ও ধৈর্যের পরও কিছু হচ্ছেনা। দাবী আদায় না হওয়া পর্রাযন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবোনা।
অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান, নজরুল ইসলাম বলেন, “রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে সরকারের গাফিলতি আমাদের আজ রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়েছে। তথ্য-প্রমাণ সরবরাহ করা হলেও ওদের উদাসীনতা সমাধানের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
বরীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান, ইয়াত সিংহ শুভ বলেন, “আর সাতবার সংশোধনের পরও ডিপিপি অনুমোদন পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন শাখার ছাড়পত্র দেওয়া হলেও কোথাও অগ্রগতি নেই—এতে আমরা অনিশ্চয়তায় রয়েছি।”
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, নজরুল ইসলাম বলেন, “সংশোধিত ৫১৯ কোটি টাকার ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে; আশা করছি দ্রুত অনুমোদিত হলে ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
সড়ক অবরোধের কারণে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয় দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার ও এ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রী ও চালকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় । দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।