ঢাকা | বঙ্গাব্দ

কথিত সাংবাদিক নামধারী সাবেক এমপি তানভীর ইমামের দালাল ‘জয়’ এখন কোথায়?

  • আপলোড তারিখঃ 21-09-2025 ইং
কথিত সাংবাদিক নামধারী সাবেক এমপি তানভীর ইমামের দালাল ‘জয়’ এখন কোথায়? ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক


সাংবাদিকতা এক সময় ছিল সমাজ বদলের একটি মহৎ হাতিয়ার। কলম ছিল প্রতিবাদের সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র। সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো মানেই ছিল সাংবাদিকতা- ভয়ডরহীন, অনুসন্ধানী, দায়িত্বশীল। অথচ আজকের বাস্তবতা এতটাই ভিন্ন, যেন আমরা এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডির মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছি।


আজকাল সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিং, দলীয় প্রভাব, দালালী, আর অপসংস্কৃতিতে ভরে গেছে সমাজ। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় তেমনই এক কথিত সাংবাদিক নামধারী দালাল জয়নাল আবেদীন জয়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভূমি দখল, সালিশি বৈঠকের নামে অর্থ আদায়, তদবির বাণিজ্য সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে পলাতক রয়েছেন জয়।


জানা যায়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামকে নারী সাপ্লাই দিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন জয়নাল আবেদীন জয় বাগিয়ে নেন উল্লাপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদ। এমপির সাথে সখ্যতার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য, ভূমি দখল, সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়, সালিশি বৈঠকের নামে অর্থ আদায় করতেন তিনি। রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে নিজ এলাকা উপজেলার কয়ড়ায় শত বিঘা জমি কিনেছেন, রাজধানী ঢাকায় কিনেছেন ফ্ল্যাট আর স্ত্রীকে দিয়েছেন সরকারি চাকরি। গত ১৫ বছর দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বুনেছেন জয়। একাধিক ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, ‘‘সাংবাদিক জয় ছিল তানভীর ইমামের পা চাটা গোলাম। এমপি সাহেবের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে জয়ের স্ত্রী বাগিয়ে নেন সরকারি চাকরি।’’


উল্লাপাড়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, ‘‘জয় একজন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর। প্রেসক্লাব দখল করে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়েছেন। নিজের ইচ্ছেমতো কমিটি করেছে, মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের সদস্য পদ বাতিল করেছে। আবার যাকে তাকে নিয়ে সদস্য করেছে। আমরা তার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত। সাবেক এমপি তানভীর ইমামের ঘনিষ্ঠতার কারণে তার প্রভাব ছিল বহুগুণ, আমরা কোন প্রতিবাদ করতে পারিনি।’’


২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে জয়নাল আবেদীন জয় পলাতক থাকার কারণে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।


২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামির তালিকায় নাম নেই তার। ফলে, উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সংগঠনের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ focusullapara

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

প্রস্তাবিত জুলাই সনদে নিরীক্ষা ও হিসাব বিভাগের পৃথকীকরণ বিষয়টি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে