সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। এবারের মৌসুমে এরই মধ্যে আগাম করে নানা ধরণের সবজি ফসলের চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষকেরা। তবে পটল চাষে ব্যাপক সারা ফেলেছে উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়নের চারটি গ্রাম।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের মৌসুমে গোটা উপজেলায় মোট ২৬৫ হেক্টর পরিমাণ জমিতে নানা ধরণের সবজি চাষাবাদের সরকারি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আগাম করে সবজি ফসলের আবাদে কৃষকেরা মাঠে জমিতে হালচাষ, জমি তৈরী ও বীজতলা করছেন। অনেক এলাকায় কপি ফসলের চারা ফেলা হয়েছে। করা হয়েছে বীজতলা।
নাগরৌহা গ্রামের কৃষক আছমত আলী কপি ফসলের বীজতলার চারা জমিতে লাগানোর উপযোগী হয়েছে। এরই মধ্যে ২১৫ হেক্টরে আবাদ (লক্ষ্যমাত্রা অর্জন) হয়েছে।
উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়নের সরাতলা, রতনদিয়ার, চাকসা ও চরবর্ধনগাছা মাঠে একাধিক কৃষকের কথায় প্রায় সোয়াশো বিঘা জমিতে পটল ফসলের আবাদ করা হয়েছে। প্রায় বছর দশেক হলো মাঠগুলোয় পটল ফসল ছাড়াও নানা ধরণের সবজি চাষাবাদ করে আসছেন।
কয়ড়া রতনদিয়ার মাঠে কৃষক মো. আলম ২৯ শতক জমিতে উন্নত জাতের বেশি হারে ফলনশীল পটল ফসলের আবাদ করেছেন। তিনি প্রতি সপ্তাহে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মণ পটল জমি থেকে তুলে থাকেন। এলাকার মোহনপুর ও কয়ড়া দুটি হাট বাজারে এ পটল পাইকারি বিক্রি করে দেন।
এখন মণ প্রতি বারো থেকে সাড়ে বারোশো টাকা দরে বিক্রি করেন। তিনি বছর দশেক হলো পটল ফসলসহ নানা সবজি ফসলের আবাদ করেন। এবারে পটল ফসলের আবাদ থেকে পায় এক লাখ টাকা আয়ের কথা জানান তিনি। একই মাঠে মরিচ ও বেগুনের আবাদ করেছেন।
উপজেলার চরবর্ধনগাছা মাঠে কৃষক সরোয়ার হোসেন, আলী আহমেদ, মুক্তি খাতুন ও রতনদিয়ার মাঠে রফিকুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন কৃষক পটল ফসল ছাড়াও নানা ধরণের সবজি ফসলের আবাদ করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় অনেক কৃষক নিজ আগ্রহে সবজি ফসলের আবাদ করছেন। এ ফসলের আবাদে খরচের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সূমী বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমকালে সব ধরণের সবজি ফলন হয়। এরই মধ্যে কৃষকেরা নানা সবজি ফসলের আবাদ শুরু করেছেন। উপ সহকারী কৃষি কর্মকতাগণ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে ফসলের আবাদে পরামর্শ দেন। তিনি নিজেও সরাসরি মাঠে গিয়ে ফসলের জমি দেখা ও কৃষকদেরকে নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলেও জানান তিনি।