খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ৪১ জন চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন হাসপাতালটির আরেক চিকিৎসক। এরপর থেকে ভেঙে পড়েছে হাসপাতালটির চিকিৎসা ব্যবস্থা। বুধবার সকাল থেকে বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক রোগী দেখছেন না, অনেকে ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়ও।
মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালটির কার্ডিয়াক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল ৪১ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
হাসপাতালের পরিচালক, উপ পরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএমও, আরএস কেউ না থাকায় দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য নেওয়া যায় নাই।
বুধবার সকালে সরেজমিন, সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা ৪০ পর্যন্ত বহির্বিভাগে ২০ জন, আন্তঃ বিভাগে রেজিস্টার, সহকারী রেজিস্টার, কনসালট্যান্টসহ আরও ২১ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত। এতে পুরো হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফেরত যাচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা।
বাগেরহাট থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কুলসুম বেগম জানান, ব্রেস্ট টিউমার নিয়ে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসি। পরে টিকেট কেটে দিকে ডাক্তার নাই। এতো দূরের রাস্তা এখন চিকিৎসা না নিয়েই ফেরত যেতে হবে। কবে এ অবস্থা ঠিক হবে জানি না।
একই অভিযোগ রূপসার দেলোয়ার হোসেন ও ছেলে ফাহিমের।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার খুলনা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক ডা. আক্তারুজ্জামানকে ঘিরে রেখে পদত্যাগ পত্রে সই করিয়ে নেয়। এসময় ৪১ জন চিকিৎসককে হাসপাতালে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল।
কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এনিয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।