বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ ১১৫ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল হকের আদালতে এই মামলা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন নগরের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ নামের ব্যবসায়ী। আদালত অভিযোগটি তদন্তের জন্য পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মো. আলী আরাফাত, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রমুখ।
ইন্টারনেট বন্ধ রাখায় বাদীর ব্যবসায়িক ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিনি (বাদী) দূরন্ত সাপ্লাইয়ার ও দূরন্ত বাজার অনলাইন সফটওয়্যারভিত্তিক ব্যবসায়ী। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য অনলাইনভিত্তিক ২০০ জন কর্মচারী রয়েছেন। অনলাইনে দৈনিক লেনদেন হয় প্রায় ২০ লাখ টাকা। আসামিদের যোগসাজশে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশে গণহত্যা পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের উদ্দেশ্যে গত ১৮ জুলাই দেশে ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এতে বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সব ব্যবসা বন্ধ থাকে। ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড বন্ধ থাকা অবস্থায় আসামিরা প্রত্যেকে গণমাধ্যম ও বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্রদূতদের কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেন। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখায় দেশের বাণিজ্যিক খাতে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা ক্ষতি হয়।