সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য দুই দিনের আলটিমেটাম ঘোষণা করেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট এবং ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতরের সামনে তারা মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
কর্মসূচিতে টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “আমরা সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে চাই, তবে পর্যটন বন্ধ করে নয়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে, দুই দিনের মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব।”
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে কোন পর্যটক রাতযাপন করতে পারবে না এবং ডিসেম্বরে ও জানুয়ারিতে দিনে দুই হাজার পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবেন। ফেব্রুয়ারিতে আবারও পর্যটক যাতায়াত বন্ধ থাকবে, যা পর্যটন শিল্পকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, “আমাদের উচিত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের বিকল্প পথ তৈরি করা জরুরি।”
তিনি বলেন, “পচনশীল বর্জ্যের ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে বায়োগ্যাস উৎপাদন এবং দ্বীপে জেনারেটর ব্যবহারের পরিবর্তে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করা প্রয়োজন।”
এছাড়া, ই-ট্যাবের সভাপতি ইমরানুল আলম জানান, সেন্টমার্টিন বন্ধ হলে লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে যাবে এবং তিনি সকল বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর এবং সংস্থার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপের পর্যটন ও পরিবেশ রক্ষা নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।