বগুড়ার ধুনটে বিয়ের দাবিতে স্কুলক্ষক নাছিমশি সেখের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন নাছিমা খাতুন (২২) নামে এক কলেজছাত্রী। ওই কলেজছাত্রীর দাবি, নাছিম সেখের সঙ্গে তার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এদিকে, বিয়ের কথা বলে নাছিমাকে ডেকে এনে নাছিম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
অনশনরত তরুণী সিরাজগঞ্জের একডালা গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে। তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আর স্কুলশিক্ষক নাছিম সেখ উপজেলার প্রতাব খাদুলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, নাছিমা খাতুন নাছিম সেখের বাড়িতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তিনি নাছিম সেখের বাড়িতে আসেন। নাছিম তাকে ডেকে এনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় নাছিমা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাছিম সেখ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। প্রায় দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুক দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ অবস্থায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাছিমা খাতুনকে বৃহস্পতিবার বাড়িতে ডেকে এনে নাছিম সেখ কৌশলে নিরুদ্দেশ হন।
নাছিমা খাতুন জানান, দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। ফাঁদে ফেলে নাছিম তার সঙ্গে গোপনে একাধিকবার সময় কাটিয়েছেন। এরপর থেকেই নাছিমকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। বিয়ের কথা বলে বাড়িতে এনে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছেন নাছিম। তার পরিবারও এ সম্পর্ক মানতে নারাজ। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি। নাছিম বিয়ে না করলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।
এদিকে, বাড়ি ছেড়ে পলাতক থাকায় স্কুলশিক্ষক নাছিম সেখের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে নাছিম সেখের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি বাড়িতে উঠার পর আমার ছেলে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। তার সন্ধান মিলছে না। তবে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে কিনা, তা বলতে পারছি না। এ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
ধুনট থানার এসআই হায়দার আলী জানান, এ ঘটনায় নাছিম সেখের বাবা বাদী হয়ে ওই মেয়ের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।