সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য নির্মিত হচ্ছে ছয় লাখ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জলাধার। ২০২০ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালে, কিন্তু নানা জটিলতায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। দুই হাজার গ্রাহককে পানি সরবরাহের পরিকল্পনা থাকলেও এখনো প্রকল্পটি চালু হয়নি।
ইতোমধ্যে ৭০০ গ্রাহক ৫২০ টাকা জামানত দিয়ে সংযোগ নিয়েছেন। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও তারা পানির সুবিধা পাননি। গ্রাহকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন চালু না হলে পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ধানগড়া পালপাড়া এলাকায় জলাধার নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া ২ হাজার ৮০০ মিটার ড্রেন নির্মাণে ১২ কোটি এবং পাইপলাইন বসাতে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এন অ্যান্ড সি কেটি (জেভি) কাজটি করছে। কাজ এখনো শেষ না হলেও ৭০ শতাংশ বিল ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, এ অঞ্চলে পানির সংকট নেই, তাই টাকা দিয়ে পানি কেনার মানসিকতা মানুষের মধ্যে নেই। এছাড়া জলাধার চালু হলে মাসে প্রায় ৩ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল এবং রক্ষণাবেক্ষণে আরও ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে, যা পৌরসভার জন্য বড় আর্থিক চাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের রায়গঞ্জ উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বণিক জানান, “প্রকল্পটি বড় হওয়ায় সময়মতো শেষ করা যায়নি। কাজের পরিমাণ অনুযায়ী বিল প্রদান করা হয়েছে।”
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নুরুল আলম টিটু বলেন, “বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় জলাধার চালু করা যাচ্ছে না। পৌরসভা থেকেও পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।”
পৌরসভার প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, “দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করে পানি সরবরাহ শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”