গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কসহ বিভিন্ন কারখানার ২৩ শ্রমিককে আটক করেছে যৌথবাহিনী। গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে তাদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্রমিকদের আটকের প্রতিবাদে ও অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক বিক্ষুব্ধ অবস্থায় অবস্থান করে। একপর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা গ্রামীণ ফ্যাক্টরির প্রবেশ গেইটে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে শ্রমিকরা ছত্র ভঙ্গ হয়ে চক্রবর্তী এলাকায় চলে যায়।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে নগরের সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে পাশের চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছেন। এতে ওই সড়কে কয়েকদিন ধরে যান চলাচল বন্ধ। এতে দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা।
অন্যদিকে পাশের জিরানী এলাকায় ডরিন গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। আজও তারা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ অব্যাহত রেখেছেন তারা। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
কাশিমপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার মহাসড়ক অবরোধকালে আন্দোলনরত বেক্সিমকো ও ডরিন কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলনে অংশ না নেয়ায় তারা ওই এলাকার অ্যামাজন নিটওয়্যার পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর করেন। এ সময় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অ্যামাজন ও বিগবস কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেন। চক্রবর্তী এলাকায় পাঁচটি ট্রাক ভাঙচুর করেন।’
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে মঙ্গলবার ভোরে ২৩ শ্রমিককে আটক করে যৌথ বাহিনী। পরে তাদের কাশিমপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আটককৃতদের অধিকাংশই বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিক।