যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নিষিদ্ধ হতে চলেছে বিশ্বের জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক। স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে এ সংক্রান্ত এক আইনী লড়াইয়ে হেরেছে টিকটক কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান চীনা সংস্থা বাইটড্যান্স। যুক্তরাষ্ট্রে এই ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে থাকে অন্তত ১৭ কোটি মানুষ।
তুমুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও জাতীয় নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ থেকে টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি আইন পাস করেছে মার্কিন কংগ্রেস। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, টিকটকের মাধ্যমে মার্কিন নাগরিকদের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটিই শর্ত, টিকটককে তুলে দিতে হবে মার্কিন কোনো মালিকানায়। নতুন বছর অর্থাৎ, ২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই ডেটলাইন। তবে টিকটককে বিক্রি করে দিতে নারাজ মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স। তারা বরাবরই মার্কিন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ কিংবা এটিকে মার্কিন মালিকানায় বিক্রি করে দেওয়ার শর্ত দিয়ে পাস করা আইনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল টিকটক। তবে টিকটকের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত।
সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিটি আদালতে যুক্তি দেখিয়েছিল, টিকটক বন্ধ করে দিলে মার্কিন ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হবে। তাতে কর্ণপাত করেনি মার্কিন ফেডারেল আদালত।
যদিও টিকটক কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের আইনি লড়াই শেষ হয়নি। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবে তারা। টিকটেরক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকানদের বাকস্বাধীনতার অধিকার রক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টের একটি প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক রেকর্ড রয়েছে এবং আমরা আশা করি, তারা এই গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ইস্যুতে ঠিক কাজটিই করবে।
টিকটকের অভিযোগ, মার্কিন কংগ্রেসে করা আইনটি ‘ভুল, ত্রুটিপূর্ণ এবং অনুমানমূলক তথ্যের’ উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা মার্কিন নাগরিকদের বঞ্চিত করবে।
এদিকে টিকটকের জন্য আরেকটি আশার আলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নির্বাচনী প্রচারকালে টিকটক নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা বুঝে নেবেন ট্রাম্প। নিজের কথায় ঠিক থাকলে পরদিনই টিকটক নিষিদ্ধ বাতিলে নির্বাহী আদেশে সই করতে পারেন ট্রাম্প।