বর্তমান সময়ে অনেক সম্পর্কেই দেখা যায় একজন সঙ্গী থাকা সত্ত্বেও অন্য কারও প্রতি আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে সেটা আবেগঘন ঘনিষ্ঠতা আবার কারও ক্ষেত্রে শারীরিক। এমন আচরণ যখন গোপন থাকে না, ধরা পড়ে যায়, তখন শুরু হয় টানাপোড়েন, বিশ্বাসহীনতা আর সম্পর্ক ভাঙনের দ্বার। কিন্তু এমন পরিস্থিতি একেবারে অমীমাংসিত নয়। কিছু সচেতনতা ও আন্তরিক চেষ্টায় সম্পর্ক আবারও জোড়া লাগতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক আপনি এই কঠিন সময়কে যেভাবে সামাল দিতে পারেন।
১. দুঃখিত? তবে সেটা মন থেকে বুঝতে হবে
আপনার আচরণে যদি সঙ্গী আঘাত পেয়ে থাকেন, তবে প্রথমেই স্বীকার করুন, আপনি ভুল করেছেন। এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা নয়, বরং খোলামেলা ও আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান। বলুন, আপনি সম্পর্কটা ঠিক করতে চান।
২. দায় স্বীকার করুন, অজুহাত নয়
ভুলের পেছনে অজুহাত তৈরি করে নিজের দায় এড়ানোর চেষ্টা করবেন না। “আমি এমন পরিস্থিতিতে ছিলাম” বা “তুমিও তো আমাকে সময় দাওনি” এমন কথায় আস্থা ফেরে না, বরং ক্ষোভ আরও বাড়ে।
৩. তার অনুভূতি শুনুন, থামাবেন না
সঙ্গী ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারেন। তখন প্রতিরোধ না করে মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তার কথা বলার মাঝে কথা কেটে না দিয়ে তাকে নিজেকে প্রকাশ করতে দিন। এটাই তার নিজেকে হালকা করার পথ।
৪. প্রশ্নের উত্তর দিন, সততার সঙ্গে
যখন সঙ্গী জানতে চাইবেন, “কি হয়েছিল?” তখন সৎ থাকুন। অপ্রয়োজনীয় গোপনীয়তা সম্পর্ক আরও নষ্ট করে। আবার অপ্রাসঙ্গিক বা অতিরিক্ত তথ্যও এড়িয়ে চলুন, যা তাকে আরও কষ্ট দিতে পারে।
৫. বিশ্বাস ফেরাতে সময় দিন
সম্পর্কে বিশ্বাস ভেঙে গেলে তা একদিনে ফেরে না। তাই সঙ্গীকে প্রয়োজনীয় স্পেস দিন। তাকে সময় দিন নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার জন্য। জোর করবেন না, কাতর অনুরোধ নয় শুধু ধৈর্য ও সম্মান।
৬. পেশাদার কাউন্সেলিং হতে পারে সমাধান
সবসময় একা একা সমাধান সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে দম্পতিদের জন্য পেশাদার কাউন্সেলিং হতে পারে কার্যকর উপায়। তারা আপনাদের উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝে সহমর্মিতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাতে পারেন।
একটি ভুল মানেই শেষ নয়। তবে ভুল মেনে নিয়ে দায়িত্ব নিয়ে তা শুধরে নেওয়ার মানসিকতাই পারে সম্পর্ককে ফের বাঁচিয়ে তুলতে।