ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি আরও জানান, এবার প্রবাসীদের ভোট নেওয়া হবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ভোটের অন্তত তিন সপ্তাহ আগে প্রবাসী ভোটারদের কাছে ব্যালট পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নবম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার- আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ কর্মকর্তারা।
সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পেয়েছি। সেখানে তিনি আমাদের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি। তবে আমরা অতি শিগগির আলোচনা করব। আর সিইসি আপনাদেরকে যেটা বলেছেন, আমাদের পক্ষ থেকে ঘোষণাটা (তফসিলের) আসবে দুই মাস আগে। অর্থাৎ যেদিন নির্বাচন হবে, তার থেকে আনুমানিক ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। রোজা যদি ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়, তার আগে ২-৪ দিন সময় দেওয়া হবে ফর নিউ গভর্মেন্ট টু টেকওভার, শপথ গ্রহণ ইত্যাদির জন্য। তার আগে আপনারা ধরেই নিতে পারেন, ভোটের শিডিউল ঘোষণার কাজটা আমাদের ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে করতে হবে।’
ইসি মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন, তাদের নতুন হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট গ্রহণ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এবার প্রবাসীদের ভোট নেওয়া হবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হবে। আর এতে কমিশন ও পোস্ট অফিস যৌথভাবে কাজ করবে। ভোট দিতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য, দেশেও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মচারী এবং ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।’
তিনি জানান, আগামী মাস থেকে শুরু করে প্রবাসীদের ভোটার অ্যাডুকেশনের কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। পোস্টাল ব্যালটে প্রতি লাখ প্রবাসী ভোটারের জন্য খরচ হবে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা।
নির্বাচনে ড্রোন ব্যবহার প্রসঙ্গে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনে কেউই, এমনকি গণমাধ্যমও ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে না। কমিশনের পক্ষ থেকে এর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে না।’
তবে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কমিশন এটি ব্যবহারে আগ্রহী।’