ঢাকা | বঙ্গাব্দ

দুই পরিবারের সেই গিট্টু আর খোলে না!

পরিবার আর মির্জা পরিবার একসময় বন্ধু ছিল একসঙ্গে ব্যবসা করতে গিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়, যাকে নাটকের ভাষায় বলতে হয়, গিট্টু লাগে।
  • আপলোড তারিখঃ 19-08-2025 ইং
দুই পরিবারের সেই গিট্টু আর খোলে না! ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, খন্দকার পরিবার আর মির্জা পরিবার। দুই পরিবারের প্রধান একসময় বন্ধু ছিল। একসঙ্গে ব্যবসা করতে গিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়, যাকে নাটকের ভাষায় বলতে হয়, গিট্টু লাগে। সেই গিট্টু আর খোলে না। এখন দুই পরিবারের কেউ কাউকে দেখতে পারে না।


খন্দকারের মেয়ে মিতা আর মির্জার ছেলে রাতুল দুজন দুজনের চোখের বিষ। কিন্তু দেখা যায় কে বা কারা যেন এলাকার দেয়ালে ভালোবাসার চিহ্ন দিয়ে তাদের দুজনের নাম লিখে রাখে। ধরা যাক রাতুল+মিতা। এটা দেখে রাতুল ক্ষেপে যায়। মিতা মেয়ে হলেও গুন্ডা প্রকৃতির। সে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাতুলকে আক্রমণ করতে যায়। কিন্তু রাতুলকে না পেয়ে তার চামচাদের গিয়ে মেরে আসে।


এ খবর শুনে রাতুল গিয়ে আবার মেরে আসে খন্দকারদের বাসা খুঁজে বেড়াচ্ছে এমন একজনকে। শুধু মারেই না, তাকে আন্ডারওয়্যার পরিয়ে খালি গায়ে ছেড়ে দেয়। এর ফলে লেগে যায় আরেক গিট্টু। 


খন্দকার প্রধান বন্দুক নিয়ে মির্জা প্রধানকে আক্রমণ করেন। কিন্তু বন্দুক বেশি পুরোনো হওয়ায় তা থেকে গুলি বের হয় না। এ যাত্রা বিরাট এক গণ্ডগোল থেকে মুক্তি মেলে দুই পরিবারের।


খন্দকার আর মির্জা পরিবারে দুই দারোয়ান আছে বকুল আর মুকুল। এরা আবার সম্পর্কে আত্মীয়। কিন্তু কীভাবে যেন দুজন দুই শত্রু পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। তাদের মাঝে প্রায়ই কথা কাটাকাটি করতে গিয়ে মারামারি লেগে যায় এবং তখন তারা দুজন দুজনকে ধরে বেশ কিছুক্ষণ মাটিতে গড়াগড়ি করে।


পরে উঠে দাঁড়িয়ে শরীর থেকে ধুলা ঝেড়ে জানায়, ওরফে আত্মীয় বলে তারা দুজন দুজনকে এবারের মতো ছেড়ে দিল। তা না হলে আজ একটা খুন হয়েই যেত। যদিও সেই খুন আর কখনোই হয় না। এভাবেই গল্পের প্রয়োজনেই হাজির হয় একের পর এক চরিত্র। যা নানা হাস্যরস আর মজার মজার ঘটনা উপস্থাপন করে।


নাটক প্রসঙ্গে পরিচালক সুস্ময় সুমন বলেন, আসলে মির্জা এবং খন্দকার পরিবারকে মিলিত করতে চায় মিতা ও রাতুল। তারা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। কিন্তু পরিবারকে দেখানোর জন্য তারা শত্রু হিসেবে নানা রকম কর্মকাণ্ড করতে থাকে, যা দেখে দর্শক কিছুটা হলেও বিনোদন পাবে বলে আমার বিশ্বাস।


আজ (১৯ আগস্ট) থেকে সপ্তাহে তিন দিন মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে বৈশাখী টেলিভিশনে এ নতুন ধারাবাহিকটি প্রচার হবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ focusullapara

কমেন্ট বক্স
notebook

প্রস্তাবিত জুলাই সনদে নিরীক্ষা ও হিসাব বিভাগের পৃথকীকরণ বিষয়টি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে