ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ লাম্পেদুসার উপকূলে নৌকাডুবিতে অন্তত ২০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এখনো সমুদ্রে অনেকের নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং স্থানীয় গণমাধ্যম বুধবার (১৩ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইতালির সংবাদ সংস্থা আনসা জানায়, উদ্ধারকারীরা এ পর্যন্ত ২০টি মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, ৭০ থেকে ৮০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ফিলিপ্পো উঙ্গারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “লাম্পেদুসা উপকূলে আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনায় গভীর শোকাহত। ইউএনএইচসিআর এখন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সহায়তা করছে। এখন পর্যন্ত ২০টি মরদেহ পাওয়া গেছে, একইসঙ্গে সমানসংখ্যক মানুষ নিখোঁজ।”
ইতালির সংবাদমাধ্যম রেডিও র্যাডিকালে জানায়, নৌকাটিতে মোট ৯৭ জন যাত্রী ছিলেন। এটি লাম্পেদুসা থেকে প্রায় ১৪ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে উল্টে যায়।
সেভ দ্য চিলড্রেন ইতালি জানায়, দেড় বছর বয়সী একটি মেয়েশিশু নিখোঁজ রয়েছে।
রাই রেডিও ১ বলছে, নিখোঁজের সংখ্যা ১২ থেকে ১৭ জনের মধ্যে হতে পারে এবং ৬০ জনকে নিরাপদে দ্বীপে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ইতালির ফিনান্সিয়াল পুলিশের একটি বিমান আকাশ থেকে নৌকাটি উল্টে থাকতে দেখে। উদ্ধার অভিযানে নৌকাডুবির শিকারদের তীরে আনার চেষ্টা চলছে।
উত্তর আফ্রিকা থেকে ইতালিগামী অভিবাসীরা সাধারণত ভঙ্গুর বা অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই নৌকায় বিপজ্জনক মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লাম্পেদুসায় পৌঁছায়। এই পথটি বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী সমুদ্রপথ হিসেবে পরিচিত।
ইউএনএইচসিআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত মধ্য ভূমধ্যসাগর রুটে ৬৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার পর্যন্ত ৩৮ হাজার ২৬৩ জন অভিবাসী ইতালির উপকূলে পৌঁছেছে।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান