ইউরোপা লিগের ম্যাচ জেতার পর শাখতার দোনেৎস্কের কোচ আরদা তুরান যেন প্রাণপণ চেষ্টা করছিলেন সরাসরি ক্যামেরার দিকে না বরং সুন্দরী রিপোর্টারের চোখ এড়িয়ে যেতে!
তুর্কি ফুটবলের সাবেক তারকা এখন ৩৮ বছরের বিবাহিত কোচ। বেসিকটাসকে হারানোর পর মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে পোস্ট-ম্যাচ ইন্টারভিউ দিচ্ছিলেন দোনেৎস্কের গ্ল্যামারাস রিপোর্টার দারিয়া বন্দর সাভিনাকে। কিন্তু দারিয়ার দিকে চোখ পড়লেই যেন কোনো অঘটন ঘটবে। এমনভাবে তিনি বারবার মাথা নিচু করছিলেন, এদিক-সেদিক তাকাচ্ছিলেন।
এটাই কিন্তু প্রথম না। গত মাসের শেষ দিকের এক সাক্ষাৎকারেও এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছিল। অনেকেই মজা করে বলেছেন, এটা নাকি তুরানের স্ত্রীর প্রতি তাঁর অটল আনুগত্যের প্রমাণ। ২০১৮ সালে আসলিহান দোয়ান তুরানকে বিয়ে করেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে হাসি-ঠাট্টা। কেউ লিখেছেন, ‘চোখ অন্যখানে, মন শৃঙ্খলায়’, আরেকজন বলেছেন, ‘আসলিহানকে ভয় পায়, অন্য কারও চোখে তাকানোর সাহস নেই’। একজন তো রসিকতা করে লিখেছেন, ‘চোখ নিচে, সংসার উপরে’।
আরেকটি মজার তথ্য। দারিয়া কিন্তু তুরানের একজন খেলোয়াড়, ভ্যালেরি বন্দর-এর স্ত্রী! তাই হয়তো সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড আরও সতর্ক ছিলেন।
গত মাসের শুরুতে শাখতার দোনেৎস্কের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন তুরান। তুরস্কে তাঁর প্রথম কোচিং অভিজ্ঞতায় (আইউপস্পোরে) ভালো পারফর্ম করেই পেয়েছেন এই চাকরি। তবে মাঠে সাফল্যের মতোই, এখন তাঁর চোখের ভাষাও সমানভাবে আলোচনার শিরোনাম হয়ে উঠেছে!