শেষ লেখা (১৯৪১) কাব্যগ্রন্থটি মোট পনেরোটি কবিতার সমৃদ্ধ সম্মিলন। কাব্যটির বেশির ভাগ কবিতা কবির মৃত্যুসজ্জাকালীন রচনা। কবির মৃত্যু-পরবর্তী প্রকাশিত বইটির বিজ্ঞপ্তির শুরুতে কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন-
এই গ্রন্থের নামকরণ পিতৃদেব করিয়া যাইতে পারেন নাই। শেষ লেখার অধিকাংশ কবিতা গত সাত আট মাসের মধ্যে রচিত। ইহার মধ্যে কয়েকটি তাহার হস্তলিখিত, অনেকগুলি সয্যাশায়ী অবস্থায় মুখে মুখে রচিত। নিকটে যাহারা থাকিতেন তাহারাই লিখিয়া লইতেন। পরে তিনি সেগুলো সংশোধন করিয়া মুদ্রণের অনুমতি দিতেন।
যারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদার ছিলেন। তাই কখনো দুঃখ-কষ্টের যন্ত্রণা বুঝতেন না।
তারা আসলে জানেন না, তিনি কতটা নিঃস্ব ছিলেন একের পর এক প্রিয় মানুষদের হারিয়ে। কাছের মানুষের প্রস্থান তাকে শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের স্বরূপ চিনিয়েছে। আর তার জীবন-দর্শন থেকে নিঙড়ে তোলা চিন্তাধারাই বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে তার কবিতা ও গানে।
অনাকাঙ্ক্ষিত একাকীত্বে থমকে দাঁড়িয়েছেন কিন্তু থামেননি। বরঞ্চ দৃঢ় উচ্চারণে গেয়েছেন-
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।
তার স্ত্রী যখন মারা যান তখন কবির ৪১ বছর বয়স। কবি তিন মেয়ে দুই ছেলের জনক। ছেলের নাম রথীন্দ্রনাথ ও শমীন্দ্রনাথ। কন্যা বেলা, রাণী ও অতশী।
স্ত্রীর পর অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন কন্যা রাণী। এরপর কলেরায় মারা গেলেন কবির ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথও। পুত্রশোকে কবি লিখলেন-
আজ জোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে।
অচিরেই কবির মনে হলো, না জোৎস্নানা রাতে তাকে বনে গেলে চলবে না। বরং তাকে জেগে থাকতে হবে, যদি বাবার কথা মনে পড়ে শমীর! যদি এসে বাবাকে না পায়? তিনি লিখলেন-
আমারে যে জাগতে হবে,
কী জানি সে আসবে কবে
যদি আমায় পড়ে তাহার মনে।
রাণীর স্বামীকে বিলেতে পাঠালেন ডাক্তারি পড়তে। না পড়েই ফেরত চলে এল। বড় মেয়ের জামাইকে পাঠিয়েছিলেন বিলেতে, ব্যারিস্টারি পড়তে, না পড়েই ফেরত এল। ছোট মেয়ে অতশীর স্বামীকেও আমেরিকায় কৃষিবিদ্যার ওপর পড়াশোনা করতে পাঠিয়েছিলেন। লোভী এই লোক কবিকে বারবার টাকা চেয়ে চিঠি দিত। কবি লিখলেন-
জমিদারী থেকে যে টাকা পাই, সবটাই তোমাকে পাঠাই।
দেশে ফেরার কিছুদিন পর ছোট মেয়েটাও মারা গেল।
সব থেকে কষ্টের মৃত্যু হয়েছিল বড় মেয়ের। বড় জামাই বিলেত থেকে ফেরার পর ছোট জামাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া লেগে কবির বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। বেলা অসুস্থ হয়ে পড়ল। অসুস্থ এই মেয়েকে দেখতে কবিগুরু প্রতিদিন গাড়ি করে মেয়ের বাড়ি যেতেন। কবিকে যত রকম অপমান করার এই জামাই করতেন। কবির সামনে টেবিলে পা তুলে সিগারেট খেতেন। তবু কবি প্রতিদিনই যেতেন মেয়েকে দেখতে। একদিন কবি যাচ্ছেন, মাঝপথেই শুনলেন বেলা মারা গেছে। কবি শেষ দেখা দেখতে আর গেলেন না। মাঝপথ থেকেই ফেরত চলে এলেন। হৈমন্তীর গল্প যেন কবির ব্যক্তি জীবনেরই গল্প!
শোক কতটা গভীর ছিল যে, কবির কলম দিয়ে বের হলো-
‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে॥’
কবির মৃত্যু হলো অতিমাত্রায় কষ্ট সহ্য করে, প্রস্রাবের প্রদাহে। কী কারণে যেন কবির বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথের কাছ থেকে শেষ বিদায়টাও পাননি।
প্রথম যৌবনে যে গান লিখলেন, এইটাই যেন কবির শেষ জীবনে সত্যি হয়ে গেল-
‘আমিই শুধু রইনু বাকি।
যা ছিল তা গেল চলে, রইল যা তা কেবল ফাঁকি॥’
জীবনসায়াহ্নে রোগসজ্জায় বিলগ্ন রবীন্দ্রনাথ যে কত বড় মৃত্যুঞ্জয়ী তা আরও একবার প্রমাণ পেলাম শেষ লেখার কবিতাগুলো পাঠান্তে।
‘মরণ রে তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান’ -মরণ
উপর্যুক্ত ‘মরণ’ কবিতায় দেখি মৃত্যুকে রবীন্দ্রনাথ মনোহর রূপে আবিষ্কার করেছিলেন। মুগ্ধ হয়েছিলেন মৃত্যুর রূপ রস ছন্দ গন্ধ স্পর্শ করে। প্রকৃত অর্থে সারা জীবন দুঃখ অতিক্রম করার অসামান্য শক্তিই তাকে এমন মরণজয়ী দুর্বার দুর্জয় করে তুলেছিল।
রবীন্দ্রনাথ তার বড় দাদার মৃত্যুতে কবি অমিয় চক্রবর্তীকে পত্র লিখেছিলেন। তাতেও তার মৃত্যু-চেতনা অস্পষ্ট নয় বরং উজ্জ্বলরূপে উদ্ভাসিত হয়েছিল।
তিনি লিখেছেন-
‘...প্রচণ্ড বেদনা থেকেই আমার জীবন মুক্তির ক্ষেত্রে প্রবেশ লাভ করিলো। আমি ক্রমেই বুঝিতে পারলুম জীবনকে মৃত্যুর জানালার ভিতর থেকে না দেখিলে তাকে সত্যরূপে দেখা যায় না। মৃত্যুর আকাশে যে বিরাট রূপ প্রকাশ পায় প্রথমে তা বড় দুঃসহ। কিন্তু তারপর তার ঔদার্য মনকে আনন্দ দিতে থাকে।’
এইযে তার মৃত্যু-দর্শন, সেটা কখনো তার অতিকথন ছিল না।
‘শেষ লেখা’য় রবীন্দ্রনাথ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে চিত্রিত করেছেন জীবন জগৎ ঐতিহ্য অভিজ্ঞতা রস রহস্য অন্বেষণ বিস্ময় জিজ্ঞাসা ও বেদনাবোধের আর্তি। সবকিছু ছাপিয়ে এ কাব্যের কবিতায় বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে তার মৃত্যু-দর্শনই।
‘রূপ নারায়নের কূলে’ কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ স্বপ্ন থেকে রূঢ় বাস্তবতায় ফিরে এসেছেন। জীবনের কঠিন সময় পার করে এসে তিনি দুঃখকে গ্রহণ করেছেন পরম প্রিয়রূপে। সমগ্র কবিতাটিতে একটা স্বপ্নভঙ্গ ও অস্থিরতার চিত্র স্পষ্ট দেখতে পাই, তিনি যখন বলেন,
‘রূপ-নারায়নের কূলে
জেগে উঠিলাম
জানিলাম এ জগৎ
স্বপ্ন নয়!’
প্রবন্ধকার ফ্রান্সিস বেকন বলেছেন, ‘Truth is naked’. সৌন্দর্যের কবি কিটস বলেছেন, ‘truth is beaty, and beaty is truth’. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে এ কাব্যে বলতে দেখি- ‘death is universal truth, and that truth is also beatiful’
তাই রবীন্দ্রনাথ অবলীলায় উচ্চারণ করতে পারেন-
‘সত্য যে কঠিন
কঠিনের ভালোবাসিলাম-
সে কখনো করে না বঞ্চনা’।
তিনি ছিলেন চিরন্তন আলোর প্রতীক। নিরাশা তার ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারেনি। তিনি জেনেছেন মৃত্যুই সুন্দর, অবধারিত এবং চিরন্তন। সুতরাং, তা আলিঙ্গনই শ্রেয়।
মৃত্যু যে জীবনে পূর্ণতা আনতে পারে তা তিনি আগেই উপলব্ধি করেছেন। জীবনকে যেমন, মৃত্যুকে তেমনি পরিপূর্ণ রূপে ভোগ করেছেন।
মৃত্যুর ক্ষণ উপস্থিত হলে তার আত্মোপলব্ধি হয়েছে যে- মৃতুর চেয়ে তার কবি পুরুষসত্তাই বড়।
বিচিত্র ছলনা জালে আকীর্ণ সৃষ্টির পথ। দুঃখের আঁধার রাত্রি, আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা। সবকিছু তিনি আজ যেন উতরে আসতে পেরেছেন। অন্তরে অনুভব করেছেন আত্মতৃপ্তি। তার ভেতরের পরম আমিত্বকে আবিষ্কার করতে পেরে শান্তির অক্ষয় অনির্বাণ লাভ করেছেন।
‘দুঃখের আঁধার রাত্রি’ কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু দর্শনই প্রকট রূপে ধরা দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুভয়কে ‘অনর্থ পরাজয়’ এবং জীবনের মিথ্যা এ-কুহক বলে অভিহিত করেছেন।
কবিতায় তাকে বলতে শুনি-
‘এ হার জিৎ খেলা, জীবনের মিথ্যা এ-কুহক
শিশুকাল হতে বিজড়িত পদে পদে এই বিভীষিকা
দুঃখের পরিহাসে ভরা’।
-দুঃখের আঁধার রাত্রি
মুক্ত স্বচ্ছ দিব্য জোতির্ময় তার অন্তরের কবি পুরুষের রূপ। বিরলভাষ বিরলালংকারে স্বচ্ছ রিজু বাণীমূর্তিতে সেই জোতিদীপ্ত পুরুষের প্রকাশ। এ পুরুষের অলংকারে কোন প্রয়োজন?
কাজেই মিল নেই, উপমা নেই, বর্ণনা নেই, সুরের ঝংকার নেই, সজ্জা বিন্যাস নেই। নেই ঘটনার ঘনঘটা।
শুধু দু-একটি কথা তিনি বলেছেন। যে কথাগুলো বলা দরকার। স্পষ্ট সরল সংহত কঠিন কয়েকটি কথা। এ যেন চরমতম অভিজ্ঞতার পরমতম বাণী। কাব্য জিজ্ঞাসার কোন নিয়মে তার মৃত্যু-চেতনাকে বিচার করবে বল? এ কাব্যের প্রতিটি কবিতা ঘ্রাণময় হয়ে উঠেছে মৃত্যু নামক এক অবিচ্ছেদ্য ফ্লেভারে। এ যেন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য হয়েও ইন্দ্রিয়াতীত অনুভূতি। কবিতার কলেবর ছাড়িয়ে প্রতিটি কবিতা উঠে গেছে ঊর্ধ্বাকাশে।
কবিগুরু এ কাব্যের কবিতা লিখতে গিয়ে হাতে তুলে নিয়েছেন এক ভিন্ন প্যাটার্নের প্ল্যাকার্ড। যাতে আমরা লেখা দেখি ঋষি রবীন্দ্রনাথের দার্শনিক চেতনা-উদ্ভূত সমস্ত বাণীবন্ধ। তার মগ্নচৈতন্যে বাসা বেঁধেছে নৈঃশব্দের পথ বেয়ে উঠে আসা মৃত্যুর মগ্নতার সুর। কবি মাতাল-মগ্নতায় আকণ্ঠ ডুবিয়ে পান করেছেন সে মৃত্যুসুধা।
আমরা এ কাব্যে খুঁজে পাই ঋষিকবি রবীন্দ্রনাথের
প্রাণের অনুভবের গন্ধটুকু।
শেষ লেখার কবিতালোককে আশ্রয় করে তিনি রূপাতীত এক অরূপ সত্তাকে তুলে এনেছেন।
স্বচ্ছ জোতির্ময় আত্মার এটাই বোধহয় যথার্থ বাণীবহ। পূর্ণজ্ঞান ও দর্শনের, চরম বৈরাগ্য ও আনন্দের পরম শক্তি ও বিশ্বাসের এমন রসঘন সরল কঠিন বাণীরূপ দেখি ‘প্রথম দিনের সূর্য’ কবিতায়-
‘প্রথম দিনের সূর্য
প্রশ্ন করেছিল
সত্তার নূতন আবির্ভাবে
কে তুমি?
মেলেনি উত্তর।’ -প্রথম দিনের সূর্য
সমস্ত কবিতায় না পাওয়ার হাহাকার উচ্চারিত হয়েছে। একটা প্রশ্নের উত্তর তিনি জীবনভর খুঁজেছেন কিন্তু পাননি। তার এই গভীর জিজ্ঞাসা ও অন্বেষাবোধ পরিণত হয়েছে অসহায়তাবোধে।
‘জন্মিলে মরিতে হবে’ এ কথাটা শুধু বিশ্বাস নয়, মননে ধারণ করতেন। একমাত্র মৃত্যুর মধ্যদিয়েই জীবনের বিকাশ ও পূর্ণতা। এই বোধ আর বৌদ্ধিক উপলব্ধি তাকে আজীবন চালিত করেছে।
‘দুঃখের আঁধার রাত্রি’ কবিতায় তিনি যখন উচ্চারণ করেন,
‘দুঃখের আঁধার রাত্রি বারেবারে এসেছে আমার দ্বারে’।
তখন আমরা দেখি জীবনকে মৃত্যু বারবার নবীন করে তোলে। নিয়তির অমোঘ নিয়মেই মানব জীবন ঘেরাটোপে বাঁধা। এখানে বলে রাখা ভালো মৃত্যুর ঠিক আগে রচিত ‘দুঃখের আঁধার রাত্রি’ কবিতাটি।
আবার যখন কাছের মানুষেরা একে একে ছেড়ে চলে গেছেন। সম্ভবত সে বোধ থেকেই তিনি লিখেছিলেন ‘মরণ মিলন’ কবিতাটি। স্ত্রী মৃণালিনী দেবির মৃত্যু এ কবিতায় ব্যঞ্জনাত্মক হয়ে ওঠে-
‘অত চুপিচুপি কেন কথা কও
ওগো মরণ হে মোর মরণ
অতি ধীরে এসে কেন চেয়ে রও
ওগো একি প্রণয়েরই ধরণ’।
নশ্বর পৃথিবীর আলো-ছায়ায় বিমুগ্ধ হয়ে কবিকে দেখি বিমূর্ত ঈশ্বরের কাছে আবেদন জানাতে,
‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে বাঁচিবারে চাই’।
‘কিন্তু হায়! জন্মিলে মরিতে হবে’ নিয়তির বেঁধে দেওয়া এ নিয়মের শৃঙ্খল ছিঁড়বে সাধ্য কার?
কে এঁটে দেবে ঈশ্বরের দরজায় লোহার তালা?
এইযে মরতে হবে জেনেও বাঁচার আকুতি, এই চেতনাই তার জীবনকে অর্থবহ করে তুলেছে। তিনি পেয়েছেন সত্য, সুন্দর ও ঐশ্বর্যের সন্ধান।
‘তোমার সৃষ্টির পথ’ কবিতাটিও একই সূত্রে গ্রথিত। ‘দুঃখের আঁধার রাত্রি’ কবিতার প্রায় বারো ঘণ্টা পর এই কবিতাটি রচিত। অর্থাৎ কবিগুরুর প্রয়াণের ঠিক আগ মুহূর্তে উচ্চারণ করলেন-
‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছো আকীর্ণ করি
বিচিত্র ছলনা জালে
হে ছলনাময়ী।
মিথ্যা বিশ্বাসের ফাঁদ পেতেছো নিপূণ হাতে
সরল জীবনে’।
কবি সমালোচক মোহিতলাল মজুমদার (১৮৮৮-১৯৫২) তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছো আকীর্ণ করি কবিতা সম্পর্কে চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
‘এখানে জীবন ও মৃত্যু দুইয়েরই এক মূর্তি; জীবন সরল বিশ্বাসীকে মিথ্যার ফাঁদে ফেলিবার জন্য সৃষ্টির পথ বিচিত্র ছলনা জালে আকীর্ণ করিয়াছে।
একদিকে ছলনা, আরেক দিকে ভয়- জীবন ও মৃত্যু কেহই সত্য শিব বা সুন্দর নয়। শেষ পর্যন্ত আত্মাই আত্মার পরম নির্ভর।... এই মিথ্যা- সুন্দর অথবা ভয়ংকর হইয়াও- আত্মার কোনো ক্ষতি করতে পারে না। কারণ আত্মার অন্তরের আলোকে সত্যই ধৌত হইয়া ওঠে’।
অতঃপর শেষ লেখা শেষ করা যায় ‘শেষের কবিতা’র শেষ কয়েকটি লাইন দিয়ে-
‘কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কী পাও।
তারিই রথ নিত্যই উধাও
জাগাইছে অন্তরীক্ষে হৃদয় স্পন্দন
চক্রে-পিষ্ট আধারের বক্ষফাটা ক্রন্দন।
তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান-
গ্রহণ করেছো যত ঋণী তত করেছো আমায়
হে বন্ধু বিদায়।’- শেষের কবিতা
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
কুমুদিনী সরকারি কলেজ, টাঙ্গাইল।