মন্দিরের সম্পদ বেহাত ও ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন বলে অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু তা হতে দেওয়া হবে না। মন্দিরের জায়গা বা সম্পদ কোনোভাবেই বেহাত হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি অমর কৃষ্ণ দাস।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভায় জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী মহাপ্রভূর আখড়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, যারা অন্যায় করেছে তাদের সংখ্যা কম, আর যারা অন্যায় করেনি তাদের সংখ্যাই বেশি। তাই বলছি যারা অন্যায় করেছেন তারা শুধরে যান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যে ক্রাইসিসটা চলছে তা সবাই মিলে মোকাবিলা করতে হবে। পৃথিবীর সকল দেশেই সরকার পরিবর্তনের পর কিছু সমস্যা হয়। আমার জানামতে দেশের অনেক জায়গায় চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠছে। আপনাদের সঙ্গেও এমন হলে সেটা বলতে হবে। সমস্যা হলে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, বাঁচতে হবে।
অমর কৃষ্ণ দাস বলেন, গীতায় লেখা আছে পরিবর্তনই সংসারের ধর্ম। সবকিছুই পরিবর্তন হবে, কোনোকিছুই চিরস্থায়ী নয়। হয়ত নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে সেটাতে মন খারাপ না করে মেনে নিতে হবে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশের সরকারের পরিবর্তন বা পতনটা স্বাভাবিক নিয়মে হয়নি এবং তারপর কয়েক দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে ছিল না, যার ফলে তখন কিছুটা সমস্যা হয়েছে কিন্তু সেগুলো আর হতে দেওয়া যাবে না।
নেশা পরিহার করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারো কোনো প্রকার নেশায় আসক্তি থাকলে তা দ্রুত পরিবার করুন। নেশাগ্রস্ত কেউ থাকলে তারা মন্দির থেকে দূরে থাকেন। এরকম কেউ থাকলে তারা সমাজে সমস্যার সৃষ্টি করবেন না। পূজায় উচ্চস্বরে ডিজে গান বাজানো বন্ধ করতে হবে। ধর্মে এগুলো নেই যে উচ্চস্বরে গান বাজাতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সন্তানদের শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মের শিক্ষা দেবেন। আপনার ধর্মীয় জ্ঞান থাকলে কেউ খারাপ কোনো কথা বললেও আপনি তাকে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিতে পারবেন। আমি বলব এই শারদীয় উৎসব আপনারা সম্মিলিত ও সুন্দরভাবে পালন করুন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক সাহা ও শহর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিংকু কুন্ডুর সঞ্চালনায় এবং জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানুর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট ইন্দ্রজীৎ সাহা, পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা অ্যাডভোকেট কল্যাণ কুমার সাহা, সত্য নারায়ণ সাহা, কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সুবল ঘোষ ও হীরক গুণ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সুবীর কর্মকার, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নরেশ চন্দ্র ভৌমিক, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ গৌর, পরেশ মাহাতো, তাড়াশ উপজেলা সনাতন সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. গোপাল চন্দ্র ঘোষসহ জেলার সকল উপজেলা থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।