ঢাকা | বঙ্গাব্দ

‘প্রচলিত আইনেই আওয়ামী লীগের বিচার চায় জামায়াতে ইসলামী’

  • আপলোড তারিখঃ 27-10-2024 ইং
‘প্রচলিত আইনেই আওয়ামী লীগের বিচার চায় জামায়াতে ইসলামী’ ছবির ক্যাপশন: ছবি: সংগৃহীত

প্রচলিত আইনেই আওয়ামী লীগের বিচার চায়- জামায়াতে ইসলামী। ২০০৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রের লড়াইয়ে নিহত পরিবারগুলোর স্বজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান একথা বলেন।


তিনি বলেন, দেশে থাকার নৈতিক সাহস হারিয়েছেন বলেই আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেছেন। তাদের ষড়যন্ত্র যাতে দেশকে আর বিভক্ত করতে না পারে; সে ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানও জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।


রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন শহীদ পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভায় যোগ দেন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা।


সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না; কিন্তু আমরা ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। ন্যায়বিচার পাওয়া আমাদের অধিকার। সব শহিদ পরিবারকে আহ্বান জানাব, আপনারা অবশ্যই ন্যায়বিচার চাইবেন। জামায়াতে ইসলামী আপনাদের পাশে থেকে আইনের অঙ্গনে লড়াই করবে। ন্যায়বিচার পেলে হয়তো কিছুটা সান্ত্বনা পাবেন। আগামী দিনে এ ধরনের স্বৈরশাসক হওয়ার খায়েশ তখন কারও জাগবে না। ওই কারণেই আমরা ন্যায়বিচারটা চাই।


ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের গেলো ১৬ বছরের স জুলুমের বিচার প্রচলিত আইনে করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, জামায়াতের উপর যে অবিচার হয়েছে আওয়ামী লীগের ওপর তা যাতে না হয়। তিনি বলেন, যারা দেশকে ভালোবাসে, তারা পালায় না। যারা খুনি, অপরাধ ও দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে তারাই পালায়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণাও দেন তিনি।


জামায়াতের আমির বলেন, গত ১৮ বছরের পর্যন্ত শহিদদের আত্মত্যাগ ও গণআন্দোলনকে পাঠ্যপুস্তকে তুলে আনতে হবে। যারা শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন তাদের মর্যাদা দিতে হবে। সব শহিদ পরিবারের অন্তত একজনকে চাকরি দিয়ে রাষ্ট্রকে তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাই। আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসা নিশ্চিতে ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলোকে শহিদ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।


তিনি আরও বলেন, যারা এ দেশকে ভালোবাসে তারা কখনও খুনি হতে পারে না, মানুষ খুন করতে পারে না। দেশপ্রেমিকরা কখনও পালায় না, পালাতে পারে না। তাহলে কারা পালায়? আপনারা জানেন, আপনারা জেনেছেন, খুনি ও চোরেরা পালায়। পালিয়ে জানে বাঁচতে পারবেন না। আপনাদেরকে ধরে দেশে ফেরত পাঠাবে। পাপাচাররা কখনো জনতার চোখ ফাঁকি দিতে পারে না।


মতবিনিময় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন- জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের।


বক্তব্য রাখেন- এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণঅধিকার পরিষদের আরেক অংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদ প্রমুখ।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ focusullapara

কমেন্ট বক্স
notebook

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ, আওয়ামী সমর্থকদের খুশির কী কারণ ?