রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুনের পর ঘেরাও করেছে ছাত্র-জনতার একটি দল। আজ বৃহস্পতিবার রাতে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা'র ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা দলটির কার্যালয় ঘেরাও করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীসহ অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি মশাল মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে যান।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে থাকার কারণে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করার অধিকার নেই।
রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’
এ সময় আওয়ামী লীগের অধীনে বিগত তিনটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় 'ফ্যাসিবাদী' ও 'ভারতের দোস'র আখ্যা দিয়ে দলটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানও দেন বিক্ষোভকারীরা।
একপর্যায়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা অফিসে ভেতর থেকে বের হয়ে আসেন। তখন সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে আন্দোলনকারী জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান। এরপর কার্যালয়টিতে আগুন দেন বিক্ষুদ্ধ আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা প্রথমে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোহেল রানা বলেন, ছাত্র-জনতা জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন দিয়েছিল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
জাতীয় বেঈমানদের অবশ্যই উৎখাত করতে হবে: জেপি কার্যালয় অভিমুখে মিছিলের ঘোষণা সারজিস, হাসনাতের
জাতীয় পার্টিকে (জেপি) উৎখাত করতে রাজধানীর বিজয়নগরে অবস্থিত দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অভিমুখে মিছিলের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার পৃথক ফেসবুক পোস্টে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সমন্বয়ক সারজিস আলম।
পোস্টে বলা হয়, জাতীয় বিশ্বাসঘাতক জাতীয় পার্টি বিজয়নগরে অস্ত্র দিয়ে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে। তারা অস্ত্র নিয়ে সমাবেশ করেছে। তাদের উৎখাতের সময় এসেছে।
আরেক পোস্টে তারা বলেন, আমরা রাজু ভাস্কর্য থেকে সাড়ে ৮টায় মিছিল নিয়ে বিজয়নগরের দিকে যাবো। জাতীয় বিশ্বাসঘাতকদের নির্মূল করতে হবে।
এর আগে আজ সন্ধ্যায় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা'র ব্যানারে জাতীয় পার্টির বিজয়নগরের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় জাতীয় পার্টির (জেপি) কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।