ঢাকা | বঙ্গাব্দ

মা-ছেলে হত্যা মামলায় সিরাজগঞ্জে একজনের মৃত্যুদণ্ড, সাত জনের যাবজ্জীবন

  • আপলোড তারিখঃ 05-11-2024 ইং
মা-ছেলে হত্যা মামলায় সিরাজগঞ্জে একজনের মৃত্যুদণ্ড, সাত জনের যাবজ্জীবন ছবির ক্যাপশন: প্রতীকী

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মসজিদ ও বালুমহাল নিয়ে বিরোধের জের ধরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় হাফিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।


একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।


আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এ তথ্য নিশ্চিত করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আইয়ুব আলী ও মো. সেলিম হোসেন নামের দুজন বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজুল ইসলাম উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব মহেশপুর গ্রামের শাহজাহান প্রামাণিকের ছেলে।


যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন—ওই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দুলাল, মো. বাচ্চু মিয়া, মো. দুলাল সরকার, মো. মাসুদ উল্লাহ রতন, মো. রহমত উল্লাহ পান্না, মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. বদিউজ্জামান।


মামলা সূত্রে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব মহেষপুর গ্রামে মসজিদ ও বালু মহাল নিয়ে আসামিদের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আলতাব হোসেনে মুকুলের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিক মামলাও রয়েছে।


এই বিরোধের জের ধরে আলতাব হোসেনে মুকুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব মহেষপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর সহযোগীরা। ২০১৯ সালের ২৬ জুন রাতে আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আলতাফ হোসেন মুকুলের বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে আলতাফ হোসেন মুকুলকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।


ঘটনাটি তাঁর মা রেজিয়া খাতুন দেখে ফেলায় তাঁকেও হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শামীম আরা আবুল কালাম আজাদসহ একুশ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।


পুলিশ এ ঘটনায় সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। মামলায় এগার জনের নামে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেয় পুলিশ। সাক্ষ্য প্রমাণে আদালতে বিশ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালতের বিচারক আজ এ রায় দেন।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ focusullapara

কমেন্ট বক্স
notebook

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ, আওয়ামী সমর্থকদের খুশির কী কারণ ?