নিবন্ধন ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে এর শুনানি শুরু হয়।
শুনানিতে জামায়াতের আইনজীবী আপিল বিভাগকে বলেন, জনস্বার্থে নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জামায়াত নিষিদ্ধের রিট করা হয়েছিলো। এবং যারা রিট করেছেন তাদের রিট করার এখতিয়ারই ছিলো না। পরে দিনের কার্যসূচির সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আপিল বিভাগ আগামী মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শুনানির দিন ধার্য করেন।
তবে এদিন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, তারা বিস্তারিত শুনানি করতে চান তাই সময়ের প্রয়োজন। আইনজীবী না আসায় গেলো বছর ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। আর এ বছর ১ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ২৮ আগস্ট ফের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে অন্তবর্তী সরকার।
এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ।
একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা পরবর্তী সময়ে আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। এর আগে রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে জামায়াত আবেদন করে, যা ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।