ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনার পর রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়টিকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। পাশাপাশি এই কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি চলছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরের পদ্মা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত সহকারী হাইকমিশন ভবন এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলও সীমিত করা হয়।
জানা যায়, নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়ে আগে শুধু প্রধান ফটকে আগত ব্যক্তির ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ দেখতো পুলিশ। এর পাশাপাশি তল্লাশিও করা হতো। তবে এখন এগুলোর পাশাপাশি হাইকমিশনারের কার্যালয় ঘিরেই বাড়তি আরও দুই স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সহকারী হাইকমিশন ভবন যাওয়ার রাস্তার প্রবেশ মুখেই পুলিশের একটি পিকআপ রাখা। সেখানে তিনজন পুলিশ সদস্য সহকারী হাইকমিশন ভবনের দিকে যাতায়াতকারী ও পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মোটরসাইকেল আরোহীকেও থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেউ সহকারী হাইকমিশন ভবনে ঢুকতে গেলে তাকে এখানে আরেকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তল্লাশি তো আছেই। সহকারী হাইকমিশনের ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ থাকলেই কেবল ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে পুলিশ।
সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের অদূরেই ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবন। মঙ্গলবার সকালে এই বাসভবনের ফটক ঘিরে ছয়জন পুলিশ সদস্যকে বসে থাকতে দেখা যায়। সেখানেও কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সামনে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গেল কয়েক দিন ধরেই ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর পুলিশকে আরও সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, নগরীর বর্ণালী মোড়ে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ভিসা প্রত্যাশীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পাওয়ার কারণে এখানে ভিসার আবেদন আসা একেবারেই কমে গেছে। ভিসা আবেদন কেন্দ্রে অবশ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের মতোই দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবন এবং ভিসা আবেদন কেন্দ্র ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে আশপাশের এলাকা ঘিরে। এসব স্থাপনায় হামলার কোনো শঙ্কা নেই। তারপরেও আমরা সতর্ক আছি’।