ঢাকা | বঙ্গাব্দ

গ্রেডের বৈষম্য দূর করতে অডিটরদের অবস্থান কর্মসূচি

  • আপলোড তারিখঃ 09-09-2024 ইং
গ্রেডের বৈষম্য দূর করতে অডিটরদের অবস্থান কর্মসূচি ছবির ক্যাপশন: ছবি: সংগৃহীত

অডিটর পদকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে কয়েক দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দেশের নিরীক্ষা ও হিসাব বিভাগের অডিটররা। তারা একই পদে দুই গ্রেডের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করছেন। বর্তমানে অডিটররা ১১তম গ্রেডে থাকলেও আদালতের নির্দেশে মাত্র ৬১ জন ১০ম গ্রেডে আছেন। আন্দোলনরতরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন অফিস সময়ে এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে।


সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত হিসাব ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। গতকাল রবিবারও তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। একই দাবিতে সারা দেশে সব হিসাবরক্ষণ অফিসসমূহও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।


এ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি), হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ) ও কন্ট্রোলার জেনারেল অব ডিফেন্স ফাইন্যান্স (সিজিডিএফ) কার্যালয়ের অধীন সব দপ্তরের অডিটরদের পাশাপাশি অন্য গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেন।


অবস্থান কর্মসূচির সমাবেশ হতে অডিটররা জানান, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে অডিটরের পদকে ১১তম গ্রেড হতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের নির্দেশনা প্রদান করা হলেও অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর উক্ত রিট মামলার পক্ষভূক্ত ৬১ জন অডিটরের পদকে ১১তম গ্রেড হতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে। এতে করে ৬১ জন অডিটর ব্যতীত বাকি ৬ হাজার ৯৮৫ জন অডিটর একই পদে দুই গ্রেডের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।


আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা জানান, গ্রেড ও পদমর্যাদা বাড়ানোর দাবিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে স্মারকলিপিসহ দাবিনামা দেওয়া হয়। হাইকোর্টে এ নিয়ে রিটও করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে অডিটর পদকে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে আদেশ দেওয়া হয়; সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশেও বহাল থাকে।


আদালতের আদেশের পরও দীর্ঘ সময় বিষয়টি সুরাহা হয়নি বলে জানান আন্দোলনরত কর্মকর্তারা। তারা জানান, সরকার পরিবর্তনের পর গত ১২ আগস্ট অডিটর পদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার জন্য অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠায় সিএজি কার্যালয়। এরপর বিষয়টির আইনি পর্যালোচনার জন্য তা অর্থ বিভাগ থেকে আইন ও বিচার বিভাগে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় বিষয়টি পর্যালোচনা করে অডিটরদের দাবির পক্ষে (১০ম গ্রেডে উন্নীত) মত দেন। গত ২৫ আগস্ট এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট স্মারক অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে পাঠানো হয়।


কিন্তু অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমি বলেন, আমিও বুঝি না আমার কথাটা কেন আসছে, আজকে চার-পাঁচজন অডিটর আমার কাছে এসে জানান, আপনার কাছে ফাইলটি পেন্ডিং আছে। কিন্তু আমার কাছে কীভাবে পেন্ডিং হয়, কারণ অডিটরদের এই কাজটি তো করছে প্রশাসন থেকে। আমি যেটুকু জানি বিষয়টি অর্থ উপদেষ্টা মহোদয়কে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ওনারা কাজ করছেন। কিন্তু বিষয়টির সঙ্গে আমি সরাসরি জড়িত না।


বিষয়টি তাহলে কে সুরাহা করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান প্রশাসন করবে। আমি ফরমালি এখনও চিঠিটা পাইনি। কিন্তু কয়েকজন অডিটর এসে আমাকে একটি চিঠি দেখিয়েছে। আমি বিষয়টি জানি কিন্তু মূল চিঠিটা আমি পাইনি। চিঠিটার মূল কপিটা কোথায় তা এখন খোঁজ করছি।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ focusullapara

কমেন্ট বক্স
notebook

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ, আওয়ামী সমর্থকদের খুশির কী কারণ ?