ঢাকা | বঙ্গাব্দ

হাজারো ব্যস্ততার পর, যদি পাশে থাকে ভালোবাসার মানুষ, তবে ঘুমও হয়ে ওঠে এক মধুর বন্ধন

  • আপলোড তারিখঃ 05-08-2025 ইং
হাজারো ব্যস্ততার পর, যদি পাশে থাকে ভালোবাসার মানুষ, তবে ঘুমও হয়ে ওঠে এক মধুর বন্ধন ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত

ঘুম আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ক্লান্ত শরীর আর ক্লান্ত মনকে নতুন করে জাগিয়ে তোলার জন্য যে বিশ্রামের প্রয়োজন, তার নামই ঘুম। কিন্তু ঘুম কেবল বিশ্রাম নয়—যখন তা প্রিয়জনের পাশে হয়, তখন এটি হয়ে ওঠে আরও কিছু… নিরাপত্তা, ভালোবাসা, মানসিক প্রশান্তি আর একধরনের অব্যক্ত সম্পর্কের বন্ধন। আধুনিক গবেষণাগুলো বলছে, ভালোবাসার মানুষের পাশে ঘুমানো শরীর ও মন- দুয়েরই জন্য আশ্চর্যরকম উপকারী। এটি শুধু একসঙ্গে বিছানায় সময় কাটানো নয়, বরং নির্ভরতা, সান্নিধ্য ও বোঝাপড়ার এক নিঃশব্দ বন্ধন।


চলুন জেনে নিই, প্রিয়জনের পাশে ঘুমানোয় কীভাবে বদলে যায় আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য:


মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়


ভালোবাসার মানুষের শরীরের উষ্ণতা, নিঃশ্বাসের ছন্দ আর হালকা স্পর্শ মস্তিষ্কে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়। এই ‘লাভ হরমোন’ আমাদের উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা কমাতে সহায়তা করে। ফলে ঘুম হয় আরও শান্তিপূর্ণ।


ঘুমের মান বাড়ে


গবেষণায় প্রমাণিত, একা ঘুমানোর তুলনায় প্রিয়জনের পাশে ঘুমালে মানুষ দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ে এবং গভীর ঘুমে যেতে পারে সহজে। কারণ, প্রিয়জনের উপস্থিতি নিরাপত্তা ও আরামের অনুভূতি এনে দেয়, যা ঘুমের গুণগত মান উন্নত করে।


 হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়


সঙ্গীর উপস্থিতি মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়, যা হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এতে করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমে যায়।


সম্পর্ক হয় আরও গভীর


একসাথে ঘুমানোর মধ্য দিয়ে বাড়ে বিশ্বাস, নির্ভরতা এবং মানসিক ঘনিষ্ঠতা। এটি সম্পর্কের অদৃশ্য বন্ধনকে করে আরও মজবুত ও স্থায়ী।


শারীরিক সংযোগ বৃদ্ধি পায়


প্রিয়জনের সান্নিধ্য, স্পর্শ ও শারীরিক উষ্ণতা এমন এক অনুভূতি তৈরি করে, যা কেবল যৌনতা নয়—বরং আরাম, আত্মিক সংযোগ এবং ভালোবাসার গভীরতা বাড়ায়।


 দুঃস্বপ্ন কমে যায়


একাকী ঘুমানোর সময় অনেকেই দুঃস্বপ্ন বা ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু পাশে প্রিয়জন থাকলে মস্তিষ্ক একধরনের নিরাপত্তাবোধ অনুভব করে, ফলে দুঃস্বপ্ন বা উদ্বেগ অনেকটাই কমে যায়।


সকালের শুরুটা হয় মধুর ও ইতিবাচক


একসাথে জেগে ওঠার মুহূর্তটি যেন সারা দিনের জন্য এক ইতিবাচক বার্তা। প্রিয় মুখটা পাশে দেখেই দিনটা শুরু হলে মন থাকে ভালো, আর সম্পর্কেও আসে নতুন উষ্ণতা।


প্রিয়জনের পাশে ঘুমানো বিলাসিতা নয়- এটি একধরনের হৃদয়গ্রাহী যত্ন, যা শরীরের ক্লান্তি ঘোচানোর পাশাপাশি মনের যত্নও নেয়। এটি সম্পর্ককে গভীর করে, নির্ভরতার ভিত মজবুত করে, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্নেহ, প্রশান্তি আর আশ্রয়ের আশ্বাস হয়ে ওঠে। তাই প্রতিদিনের হাজারো ব্যস্ততার পর, যদি পাশে থাকে ভালোবাসার মানুষ, তবে ঘুমও হয়ে ওঠে এক মধুর বন্ধন, যা শুধু চোখ বন্ধ নয়- হৃদয়ও জুড়িয়ে দেয়।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ focusullapara

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
notebook

প্রস্তাবিত জুলাই সনদে নিরীক্ষা ও হিসাব বিভাগের পৃথকীকরণ বিষয়টি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে