ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির দাম। স্বস্তি নেই মাছ ও মাংসের দামে। এতে ক্ষুব্ধ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে শহরের ঐতিহ্যবসহী মেছুয়া বাজারে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, সবচেয়ে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। কাঁচামরিচ গত সপ্তাহ ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সবজির দাম কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মাছের দামও কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। টমেটো ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চিচিঙ্গা ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ ও বরবটি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহ ঢেঁড়স ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৮০, জিরা ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৮০, বেগুন ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৮০, পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৭০ ও কাঁকরোল ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল ও শসা ৪০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৬০ ও মিস্টি লাউ ২০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি গাজর ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০, চায়না গাজর চায়না গাজর ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০, করলা ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ ও কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মোটা বেগুন ১১০, লতা ৪০, কচুর মুখি ৪০, লাউ ৬০ টাকা পিস, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি ও লেবু ১৫ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারে মাছের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহ কালবাউশ ৩০০-৩৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে ৩১০-৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেড়েছে অন্যান্য মাছের দাম। পাবদা ৩৫০-৪৭০, সিলভার কার্প ২২০-২৭০, মৃগেল ২৬০-৩১০, পাঙাশ ১৮০-২২০, গুলশা ৫৬০-১০০০, টাকি ৪০০-৫৫০, রুই ৩০০-৪০০, শোল ৫৭০-৮৫০, ট্যাংরা ৫১০-৮৩০, তেলাপিয়া ১৯০-২৭০, কাতলা ৩৩০-৩৯০, শিং ৩১০-৬০০ ও কৈ ২৩০-৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তি নেই মুরগি, গরু ও খাসির মাংসেও। ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৬০, কক মুরগি ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৩১০, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৮০০ ও খাসির মাংসের দাম ১১০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি হালি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
আব্দুল আজিজ নামে এক সবজি ক্রেতা বলেন, 'বাজারে সবজির প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। তবুও ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।'
ইদ্রিস আলী নামে এক মাছ ক্রেতা বলেন, 'মাছের দামও বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। বাধ্য হয়ে বিক্রেতাদের নির্ধারিত দামেই কিনতে হচ্ছে।'
সবজি বিক্রেতা আব্দুল হাই বলেন, 'বৃষ্টির কারণে অনেক নীচু জমিতে পানি জমেছে। অনেক কৃষক সবজি তুলে বিক্রি করতে পারছেন না। এতে বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে, বিপরীতে দাম বেড়েছে।'
মাছ বিক্রেতা আরিফ হোসেন বলেন, 'আড়তদাররা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। ফলে খুচরা বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।'
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, 'বাজারে আমাদের মনিটরিং রয়েছে। তবে অসাধু বিক্রেতারা সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে তাদের পকেট ভারি করতে চেষ্টা করেন। অভিযান চালিয়ে এ সব বিক্রেতাদের জরিমানার আওতায় আনা হবে।'