বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) হাটহাজারী থানার ওসি বরাবর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ।
মামলার এজাহারে উল্লিখিত অভিযুক্তরা হলেন - শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মচারী ও ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের অনুসারী শরিফ উদ্দিন; লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ও সিক্সটি নাইনের অনুসারী সাইদুল ইসলাম সাইদ, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও সিএফসি গ্রুপের অনুসারী আরিফুল ইসলাম আরিফ; ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিজয় গ্রুপের অনুসারী এইচটি ইমাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিজয় গ্রুপের অনুসারী জজ মিয়া ওরফে মাজহারুল ইসলাম; আইন বিভাগের বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও সিএফসি গ্রুপের অনুসারী ইয়াসিন আরাফাতসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ জন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত ১৪ জুলাই রাত অনুমান ১১.১০ মিনিটের সময় চবি জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় আমি ও আমার অন্যান্য সহযোদ্ধারা মিছিলে জড়ো হইয়া চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার শ্লোগান দিতেছিলাম। ঐ সময় বর্ণিত বিবাদীগণ অজ্ঞাত নামা ৩০/৪০ জন বিবাদী একদলবদ্ধ, বেআইনি জনতাবদ্ধে হাতে ককটেল, দেশীয় তৈরি অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া একের পর এক ককটেল নিক্ষেপ করত: এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ঐ সময় আমাদের দিকে ওরা এগিয়ে আসিতে থাকিলে আমরা ভয়ে আতঙ্কিত হইয়া দিক্বিদিক ছুটাছুটি করিতে থাকি। বিবাদীগণ ঐ তারিখ প্রায় রাত অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় পর্যন্ত ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করিয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। বর্ণিত বিবাদীগণ ও আরো অজ্ঞাত নামা ৩০/৪০ জন বিবাদীগণ ছাত্রলীগের চিহ্নিত নেতাকর্মী আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বানচাল করিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত ঘটনা ঘটাইয়াছে।'
এ বিষয়ে সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, ' গত ১৪ জুলাই আনুমানিক রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ককটেল ফুটানোর মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আক্রমন করে। ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের জন্য হাটহাজারী থানায় একটি মামলা মামলা দায়ের করেছি। '
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন , ' মামলার বিষয়ে তিনি অবগত নন। তাছাড়া তিনি বাহিরে অবস্থান করছেন বলে জানান।'