ঢাকা | বঙ্গাব্দ

জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসের অডিটর নূরে আলম সিদ্দিকের কমিশন বাণিজ্য!

  • আপলোড তারিখঃ 28-07-2025 ইং
জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসের অডিটর নূরে আলম সিদ্দিকের কমিশন বাণিজ্য! ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক


সিরাজগঞ্জ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসের অডিটর নূরে আলম সিদ্দিক এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পেনশন কেইস নিষ্পত্তি, এল এ চেক প্রদানসহ বিভিন্ন বিল পাশ করতে ১০% কমিশন গ্রহন, জালিয়াতি করে বিল উত্তোলন। এবং বল প্রয়োগ করে একই অফিসে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত কর্মরত আছেন তিনি।


অফিস সূত্রে জানা যায়, অডিটর নূরে আলম সিদ্দিক রেজিস্টার পোস্টিং, এল এ চেক, এলপিসি, ইএলপিসি, ছুটির হিসাব, পেনশন গণনা, পিপিও বই তৈরিসহ টিআর, কাবিখা, কাবিটা এসকল বিলও তার অধিনে পাশ হয়।


অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি বিল পাস করতে ১০% কমিশন নেন নূরে আলম। আর কমিশন না দিলেই হয়রানির শিকার হতে হয় বিল গ্রহীতাদের। সিরাজগঞ্জ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসে অন্য সব অডিটর যেখানে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বদলির আদেশ পান সেখানে অডিটর নূরে আলম সিদ্দিক রহস্যজনক কারণে সিরাজগঞ্জ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত স্বপদে বহাল আছেন।


অডিটর নূরে আলম সিদ্দিক বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তার নিজ এলাকা কাজীপুর এবং সিরাজগঞ্জ শহরে নামে বেনামে কিনেছেন একাধিক প্লট এবং ফ্ল্যাট। একাধিক ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে বিপুল পরিমান টাকা।


জানা যায়, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সয়াধানগড়া এলাকার জহুরুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভুগী অডিটর নূরে আলম সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গত ৩/১১/২০২৪ ইং তারিখে হিসাব মহানিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে অভিযোগ আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ।


একই অফিসে কর্মরত এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: বদিউজ্জান তার স্ত্রীর বড় ভাই হওয়ার সুবাদে ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব একাউন্টস (ডিসিএ) রাজশাহী তাকে বদলি করেন না। এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পান তিনি।


অডিটর নূরে আলম সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত না। আত্মীয়তার সুবাদে আমি কোন সুবিধা নেইনি।’’


এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার আব্দুল মতিন বলেন, ‘‘আমাদের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য গণমাধ্যমে দিতে পারবে না।’’


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ focusullapara

কমেন্ট বক্স
notebook

প্রস্তাবিত জুলাই সনদে নিরীক্ষা ও হিসাব বিভাগের পৃথকীকরণ বিষয়টি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে